মুক্তির মিছিল,  ঢাকা,  বুধবার, ২১ জুন ২০২৩ :  জাতীয় অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে দেশের অগ্রগামী ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান হওয়ার স্বপ্ন ও দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ১৯৯৫ সালে যাত্রা শুরু করে সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেড। দেশের নেতৃস্থানীয় ব্যবসায়িক ব্যক্তিত্ব ও বিশিষ্ট শিল্পপতিদের হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হওয়া ব্যাংকটিতে রয়েছে জাতীয় অর্থনীতির বিভিন্ন বিভাগে অংশীদারত্ব।

উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নারীদের ব্যাংকিং পেশায় নিয়ে আসার মাধ্যমে নারী-পুরুষের সমতা নিশ্চিত করেছে সাউথইস্ট ব্যাংক। এটি তাদের জন্য গর্বের। পাশাপাশি ব্যাংকটির কার্ডের জনপ্রিয়তা রয়েছে গ্রাহকের কাছে।

এই জনপ্রিয়তার পেছনে প্রধান কারণ কী? সাউথইস্ট ব্যাংক বর্তমানে ১ লাখ ৫০ হাজারের বেশি গ্রাহককে নিরবচ্ছিন্নভাবে কার্ডসেবা দিয়ে যাচ্ছে। কার্ডের ফিচার ও আকর্ষণীয় সুযোগ-সুবিধার কারণে প্রতি মাসে প্রায় দুই হাজারের বেশি নতুন গ্রাহক কার্ড নিচ্ছেন। যার মধ্যে ‘ডুয়াল কারেন্সি ইনস্টা প্রিপেইড কার্ড’ খুবই জনপ্রিয়। এই কার্ড কার্ড ডিভিশন, সেলস সেন্টারসহ ব্যাংকের শাখা থেকে একটি ফরম পূরণ করে জাতীয় পরিচয়পত্র ও এক কপি ছবি প্রদানের মাধ্যমে সঙ্গে সঙ্গে নিতে পারছেন।

আর পাসপোর্ট এন্ডোর্সের মাধ্যমে বিদেশে ভ্রমণ করতে পারছেন অনায়াসেই। সহজ ও ঝামেলাহীনভাবে কার্ড হাতে পাওয়ায় ক্রেডিট কার্ডের মতো এ কার্ডও জনপ্রিয়। সর্বোচ্চ নিরাপত্তাবিশিষ্ট ও সহজ লেনদেনসহায়ক দেশের স্বনামধন্য শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো পে-রোল কার্ডসেবা গ্রহণ করেছে। এ ছাড়া হজ এজেন্সিগুলো সাউথইস্ট ব্যাংকের ‘হজ কার্ড’ ব্যবহার করছে।

শুধু তা-ই নয়, গ্রাহকেরা সাউথইস্ট ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করার আরেকটি কারণ হলো এ কার্ডে রয়েছে সুদবিহীন ৫০ দিনের মধ্যে বিল পরিশোধের সুবিধা। নির্দিষ্ট লেনদেনের মাধ্যমে বাৎসরিক চার্জ মওকুফের সুযোগ। এ ছাড়া কার্ডের বিশেষ আকর্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে ৩ থেকে ৩৬ মাস পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের মাসিক কিস্তি সুবিধা, ৬০০টির বেশি মার্চেন্ট পয়েন্টে বিশেষ ডিসকাউন্ট, তারকা মানসম্পন্ন ১৩টি হোটেলসহ মোট ১৭টি হোটেল ও রেস্টুরেন্টে বুফে খাবারের ওপর ‘বাই ওয়ান গেট ওয়ান’ ফ্রি অফার, জনপ্রিয় ৮টি সুপারশপ চেইনে ‘ফ্রাইডে ক্যাশব্যাক অফার’ ইত্যাদি।

এ ছাড়া রয়েছে স্বনামধন্য হাসপাতালগুলোয় চিকিৎসা ব্যয়ের ওপর ডিসকাউন্ট সুবিধা এবং গ্রাহকসেবা নিশ্চিতের জন্য ২৪/৭ কল সেন্টার। এসএমএস ও ই-মেইলের মাধ্যমে গ্রাহকদের কার্ডের লেনদেনের অ্যালার্ট, বিল স্টেটমেন্ট ও ফ্রড অ্যালার্ট প্রদান করা হয়। ফলে একজন গ্রাহক তাঁর কার্ডের সর্বশেষ তথ্য ও নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতন থাকেন সব সময়।

সাউথইস্ট ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও নিরাপত্তাসমৃদ্ধ ইএমভি চিপনির্ভর কনটাক্টলেস লোকাল ও ডুয়েল কারেন্সি কার্ড। ই-কমার্স লেনদেন প্রক্রিয়াকে সহজ করার জন্য সাউথইস্ট ব্যাংক সর্বপ্রথম বাংলাদেশে নিয়ে এসেছে ‘কুইক রিড কার্ড’।

এ ছাড়া রয়েছে ভিসা ও মাস্টার কার্ড ব্র্যান্ডের বিভিন্ন ক্যাটাগরির কার্ড, যা পিওএস, এটিএম ও ই-কমার্স লেনদেনকে করবে আরও সহজ এবং ঝামেলাহীন। ব্যাংকের কার্ডে নেই কোনো হিডেন চার্জ। কার্ড থেকে খুব সহজেই মোবাইল ওয়ালেট অথবা অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করা যায়।

কার্ডের বিল পেমেন্ট করার জন্য রয়েছে ব্র্যাঞ্চ ব্যাংকিং, রিসাইক্লার এটিএম, অনলাইন/অফলাইন সিডিএম। এ ছাড়া ইন্টারনেট ব্যাংকিং, এমএফএস ভার্চ্যুয়াল ওয়ালেটের মাধ্যমে ঘরে বসে ২৪/৭ কার্ডের বিল পেমেন্ট করার সুবিধা। আরেকটি বড় সুবিধা হচ্ছে পেমেন্ট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নির্দিষ্ট অ্যামাউন্টটি কার্ডে চলে আসে।

কার্ডের সুরক্ষা

শর্তের বেড়াজালের কারণে গ্রাহক যেন ক্রেডিট কার্ড নিতে ভয় না পান, সে জন্য কাজ করে যাচ্ছে সাউথইস্ট ব্যাংক। তাই সহজ শর্তে সীমিতসংখ্যক প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টের বিপরীতে সীমিত আয়ের চাকরিজীবীদের ক্রেডিট কার্ড প্রদান করছে। কার্ডের বিভিন্ন ফি, চার্জ সম্পর্কে ও বিল পরিশোধের জন্য এসএমএস এবং ই–মেইলের মাধ্যমে অবহিত করার মাধ্যমে গ্রাহকদের সচেতনতা বৃদ্ধি করছে। যদি কার্ডধারী সঠিক সময়ে বিল পরিশোধ না করেন আবার জানানো হচ্ছে। এ ছাড়া কার্ডের তথ্যের সুরক্ষা বজায় রাখতে চলমান প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সাউথইস্ট ব্যাংক কারিগরিভাবে সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন ফিচার সংযুক্ত করেছে।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেড গ্রাহকসংখ্যা বাড়াতে হাতে নিয়েছে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা। এর অংশ হিসেবে চাকরিজীবীর পাশাপাশি ব্যবসায়ীদেরকেও ক্রেডিট কার্ড প্রদান করে থাকে। আগ্রহীরা ঢাকা শহরে দুটি সেলস সেন্টার, বিভাগীয় শহরে চারটি সেন্টারসহ ব্যাংকের ব্রাঞ্চ নেটওয়ার্ক, ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজের মাধ্যমে সহজেই কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ ছাড়া কার্ডের প্রসারে বছরব্যাপী বিভিন্ন সেলস ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here