বিএনপি ‘শেষ বার্তা’ দিচ্ছে উল্লেখ করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিএনপিকে পাল্টা বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের সংবিধান আমাদের নির্বাচনের চালিকা শক্তি। সংবিধান যা বলবে, আমরা তা-ই করব। বন্ধুদের পরামর্শ শুনব, কিন্তু সংবিধান থেকে আমরা একচুলও নড়ব না। এটা হলো আমাদের থেকে বার্তা।’ নাশকতা করতে বিএনপি ক্যাডার পালছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘নাশকতার সমুচিত জবাব দিতে আমরা প্রস্তুত হচ্ছি। বাড়াবাড়ি করবেন না, খবর আছে৷’

আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে এক অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তৃতায় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। ‘শেখ রাসেল দীপ্তিময়, নির্ভীক নির্মল দুর্জয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা এবং মেধাবৃত্তি, দরিদ্র তহবিলে অনুদান ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণের এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক উপকমিটি।

টাকাপয়সা দিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের ‘পকেট গরম’ বলে দাবি করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘মাল-পানি চালান ভালোই আসছে। এখন তৈরি হচ্ছে শেষ বার্তা। আমাদের নাকি শেষ বার্তা! কোনটা বলল, বুঝলাম না—ক্ষমতা থেকে, নাকি দুনিয়া থেকে চলে যেতে হবে! কোথা থেকে পেলেন এই বার্তা, কেন দিচ্ছেন এই বার্তা?’ তিনি বলেন, ১৫ বছরে কমপক্ষে ১৫ শ বার্তা তারা (বিএনপি) দিয়েছে। একে একে ১৫ বছর চলে গেছে। কোনো বার্তায় কাজ হবে না। দেশের মানুষ যত দিন শেখ হাসিনার সঙ্গে আছে, তত দিন কোনো বার্তা দিয়ে লাভ হবে না।

বিএনপির উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নাশকতা করার জন্য কোনো হোটেল খালি নেই, সব বুকিং হয়ে গেছে। মির্জা ফখরুলের পকেট বড় গরম। এখন টাকা দিয়ে দিয়ে ক্যাডার পালছে। এই নাশকতার সমুচিত জবাব দিতে আমরা প্রস্তুত হচ্ছি। বাড়াবাড়ি করবেন না, খবর আছে৷’

ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির চেয়ারম্যান এ কে এম রহমত উল্লাহ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। উপকমিটির সদস্যসচিব এবং ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলামের সঞ্চালনায় এতে অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক আবদুল হালিম, ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সেলিনা আক্তার এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বক্তব্য দেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here