২০১৮ সাল থেকে প্রতিবছর গণতন্ত্রের সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতি হয়েছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘২০১৮ সালে বাংলাদেশ ৮৮তম, ২০১৯ সালে ৮০তম, ২০২০ সালে ৭৬তম, ২০২১ সালে ৭৫তম ও ২০২২ সালে ৭৩তম স্থানে উন্নীত হয়েছে; অর্থাৎ বিএনপি নেতারা যে বক্তব্যগুলো দেন সেগুলো যে মিথ্যা–অসার, সেটিই এই রিপোর্টের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্র আরও সংহত হতো, বাংলাদেশ গণতন্ত্রের সূচকে আরও কয়েক ধাপ উন্নীত হতো, যদি বিএনপির সংসদ বর্জন, সংসদ থেকে পদত্যাগ, এই অপরাজনীতি না থাকত। কারণ, গণতন্ত্রকে দৃঢ় ও সংহত করার দায়িত্ব যেমন সরকারি দলের, তেমনই বিরোধী দলেরও দায়িত্ব। বিরোধী দল সংসদে থাকুক কিংবা না থাকুক, গণতন্ত্রকে সংহত করা, গণতান্ত্রিক রীতিনীতি চর্চা করা, সেটি সব রাজনৈতিক দলের সম্মিলিত দায়িত্ব। আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের গণতন্ত্র যে সুসংহত হয়েছে এবং গণতান্ত্রিক রীতিনীতির চর্চা বিস্তৃত হয়েছে, সেটির বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের এই রিপোর্ট।’

জাপানের প্রধানমন্ত্রীকে বিএনপির পত্রলেখা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব এসব রিপোর্টকে অস্বীকার করেছিলেন। পরে মির্জা ফখরুল সাহেব স্বীকার করেছেন। এ ধরনের চিঠি বিদেশি রাষ্ট্রের কাছে লেখা, সেটি শুধু জাতির জন্য, দেশের জন্যই অমঙ্গলজনক নয়; এটি দেশদ্রোহিতার শামিল। মির্জা ফখরুল সাহেবের চিঠির ভাষা যদি তা–ই হয় যে জিয়াউর রহমান গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন, তাহলে বন্দুক উঁচিয়ে ক্ষমতা দখল করা, সেটিই গণতন্ত্র কি না, বিএনপির কাছে সেটিই আমার প্রশ্ন।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here