মুক্তির মিছিল, ঢাকা, সোমবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৩ : চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি সামিউল হকের ১৫টি নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনটিতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। গতকাল রোববার দিবাগত রাতে শহরের বাতেন খাঁ মোড়সংলগ্ন প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়সহ পৌর এলাকার কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
ভাঙচুরে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর লোকজন জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সামিউল হক। তাঁর পক্ষে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আলমগীর এ ঘটনায় আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
সামিউল হক বলেন, নির্বাচনের ঠিক আগে ১৫টি নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনটিতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এটা মোটেও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। ভাঙচুরের সময় কার্যালয়ে থাকা কর্মীদের বেধড়ক মারধরও করা হয়েছে। এ ঘটনা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে নৌকা প্রতীকের লোকজন জড়িত বলে মনে করেন তিনি। লিখিত অভিযোগে জড়িত ব্যক্তিদের নাম–ঠিকানা দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল ওদুদ পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন, সামিউলের কর্মীরাই গত তিন দিনে তাঁর সাতটি নির্বাচনী কার্যালয় ভেঙেছে। এ নিয়ে তিনি থানায় মামলা করার উদ্যোগ নিলে সামিউল নিজের লোকজন দিয়ে নিজের কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটিয়েছেন। সস্তা সহানুভূতি পাওয়ার আশায় ভোটারদের বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা এটি।
লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খান বলেন, অভিযোগের তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এসব ঘটনা সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে কোনো প্রভাব ফেলবে না।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জ–৩ আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।