মুক্তির মিছিল,  বিদেশ ডেস্ক, সোমবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৩ : চীনে গত সপ্তাহে করোনাজনিত মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৩ হাজার। দেশটিতে ১৩ থেকে ১৯ জানুয়ারির মধ্যে এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। দেশটির সরকারি হিসাবে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর এএফপির

তবে এ হিসাবে শুধু হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে ও এর জেরে বিভিন্ন জটিলতায় ভুগে বাড়িতে যাঁরা মারা গেছেন, তাঁদের সংখ্যা এতে নেই।

চীনের রোগনিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থা (সিডিসি) গত শনিবার এক বিবৃতিতে বলেছে, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৬৮১ জন করোনার কারণে শ্বাসতন্ত্রের জটিলতায় ভুগে মারা গেছেন। আরও ১১ হাজার ৯৭৭ জন করোনার কারণে বিভিন্ন জটিলতায় ভুগে মারা গেছেন।

গত ডিসেম্বরের শুরুর দিকে চীনে করোনার কঠোর বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার হয়। মূলত এর পর থেকে দেশটিতে করোনার সংক্রমণ ও এতে মৃত্যুর ঘটনা বেড়ে গেছে। এর আগে দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের অধীনস্থ ব্যুরো অব মেডিকেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের প্রধান জিয়াও ইয়াহুই জানান, চীনে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৫৯ হাজার ৯৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক করোনাসংক্রান্ত পূর্বাভাস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান এয়ারইনফিনিটি জানিয়েছে, নববর্ষের ছুটিতে করোনা নিয়ে টালমাটাল পরিস্থিতিতে পড়েছে চীন। দেশটিতে এই ছুটির মধ্যে প্রতিদিন প্রায় ৩৬ হাজার মানুষের করোনায় মৃত্যু হতে পারে।

সিডিসির প্রধান রোগতত্ত্ববিদ উ জুনইউ গত শনিবার চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ওয়েইবোতে এক পোস্টে বলেন, চীনা নববর্ষের ছুটিতে বিপুলসংখ্যক মানুষ ভ্রমণ করছেন। এর ফলে বিস্তৃত পরিসরে করোনা ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে চীনের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

আজ (২৩ জানুয়ারি) লুনার নিউ ইয়ার, যা চীনা নববর্ষ নামে পরিচিত। চীনে এর আগে ও পরে সরকারি ছুটি থাকে। চীনের অনেকেই এ সময় ঘুরতে যান। অনেকে আবার ছুটি কাটাতে গ্রামে পরিবারের কাছে যান। ২০২০ সালে করোনা মহামারির শুরুর পর থেকে চীনে কঠোর বিধিনিষেধের কারণে এমন ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা ছিল। এখন এই নীতি থেকে সরে আসায় এবার কোটি কোটি মানুষ নববর্ষের ছুটি কাটাতে গ্রামে ফিরেছেন। তাই করোনার সংক্রমণও বাড়ছে।

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here