মুক্তির মিছিল,  ঢাকা, বুধবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ : রান্নাঘরের অতিপরিচিত উপাদান হচ্ছে হলুদ। এটি কমবেশি সব তরকারিতেই ব্যবহার হয়ে আসছে। তরকারিতে স্বাদ বৃদ্ধির পাশাপাশি এর স্বাস্থ্য উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না।

১. বাতের ব্যথা কমায়
বাতের ব্যথা বা জয়েন্টে ব্যথা এখন নারীদের একটু বয়স হলেই এটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। হলুদে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য থাকার কারণে এটি আপনার বাতের ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে। এক গ্লাস হলুদ পানি খেলেই আপনি পেতে পারেন উপকার।

২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
হলুদে থাকা কারকিউমিন আপনার বিভিন্ন রোগকে দূরে রাখতে সাহায্য করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এ ছাড়া হলুদের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য থাকায় এটি সামগ্রিক স্বাস্থ্যেকে ভালো করে তোলে। আর এর ফ্রি র্যাডিক্যাল ক্ষতি রোধ করে এবং রোগ প্রতিরোধ করে।

৩. ওজন নিয়ন্ত্রণ করে
ওজন কমানোর জন্য প্রয়োজনীয় মৌলিক বিষয় হচ্ছে পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখা।  আর আপনার খাদ্যতালিকায় নিয়মিত হলুদ পানি যোগ করলে তা হজমশক্তির উন্নতি ঘটতে পারে। এটি আপনার বিপাককে আরও বাড়িয়ে দেয় এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।

৪. ত্বকের জন্য উপকারী
হলুদে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের স্বাস্থ্যের পাশাপাশি ত্বকের জন্যও অনেক উপকারী। নিয়মিত হলুদ পানি খেলে তা আমাদের ফ্রি র্যাডিক্যাল ক্ষতি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। আর এটির কারণে আপনাকে কম বয়স্ক দেখাতে পারে। এটি নিয়মিত খেলে তা ত্বককে তরুণ এবং উজ্জ্বল রাখতে পারে।

৫. শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ অপসারণ
আমরা আমাদের খাদ্য, পরিবেশ এবং বাতাসের মাধ্যমে প্রতিদিন বিভিন্ন বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ গ্রহণ করে ফেলি। আর এগুলো আমাদের অসুস্থ করে তুলতে পারে। তাই শরীরকে সুস্থ রাখতে এসব বর্জ্য অপসারণ করা জরুরি। আর প্রতিদিন এক গ্লাস হলুদ পানি খেলে তা শরীর থেকে বর্জ ও বিষাক্ত পদার্থ অপসারণ করতে সাহায্য করে।

হলুদ পানি তৈরি করাও অনেক সহজ। এর জন্য বিশুদ্ধ পানি ১-২ মিনিট ফুটিয়ে নিয়ে তাতে কয়েক চিমটি গুড়া হলুদ যোগ করুন। এর পর সেটি ছেঁকে নিয়ে হালকা গরম গরম পান করলেই পাবেন উপকার। আর স্বাদ বাড়িয়ে নিতে এতে সামান্য মধু যোগ করে নিতে পারেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here