আজ বেলা ১০টা ৪৫ মিনিটে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশনের সামনে এসে ওবায়দুল কাদের, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, চিফ হুইপ লিটন চৌধুরী, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, ফারুক খান, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ প্রমুখ অপেক্ষা করতে থাকেন। এর ১০ মিনিট পর মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন কমিশনে এলে তাঁকেসহ প্রতিনিধিদল ভেতরে ঢোকে।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইনে মনোনয়নপত্র দাখিল সম্পর্কে বলা আছে, মনোনয়নপত্র দাখিলের জন্য নির্ধারিত দিন ও সময়ের মধ্যে কোনো সংসদ সদস্য রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হওয়ার যোগ্যতাসম্পন্ন কোনো ব্যক্তিকে ওই পদের জন্য মনোনীত করে নির্বাচনী কর্তার কাছে একটি মনোনয়নপত্র দিতে পারবেন, যে মনোনয়নপত্রে প্রস্তাবক হিসেবে তাঁর স্বাক্ষর থাকবে এবং সমর্থক হিসেবে অন্য একজন সংসদ সদস্যের স্বাক্ষর থাকবে; সেই সঙ্গে যিনি রাষ্ট্রপতি পদের জন্য মনোনীত হতে যাচ্ছেন, তাঁরও ওই মনোনয়নে সম্মতিসূচক স্বাক্ষরিত বিবৃতি থাকবে।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটার সংসদ সদস্যরা। চলতি সংসদে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। ফলে আওয়ামী লীগ যাঁকে প্রার্থী মনোনয়ন করবে, তিনিই পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হবেন—এটা নিশ্চিতভাবে বলা যায়।
মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের জন্ম পাবনায়, ১৯৪৯ সালে। তিনি ছাত্রজীবনে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ও সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন তিনি। এরপর ১৯৮২ সালে বিসিএস (বিচার) ক্যাডার হিসেবে যোগ দেন। বিচারকের বিভিন্ন পদে চাকরি শেষে ২৫ বছর পর ২০০৬ সালে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে অবসর নেন।
২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন দুদকের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।