ফেসবুক, টিকটকের মতো সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তরুণদের আসক্তির কারণ নিয়ে গবেষণায় নামবে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশন ও ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেস।

বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহারকারীদের আসক্তি মোকাবিলায় এরই মধ্যে নতুন বিল উত্থাপন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের দুই সিনেটর। ডেমোক্রেটিক পার্টির সিনেটর এমি ক্লোবুচার ও রিপাবলিকান পার্টির সিনেটর সিনথিয়া লুমিস বৃহস্পতিবার বিলটি উত্থাপন করেছেন।

ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশন ও ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেসের গবেষণার বরাতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে নতুন নীতিমালা তৈরি করবে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি)। নীতিমালা না মানলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে সোস্যাল প্ল্যাটফর্মগুলোর বিরুদ্ধে।

বিবৃতিতে ক্লোবুচার বলেন, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্লাটফর্মগুলো মুনাফাকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। তারা ব্যবহারকারীদের ধরে রাখতে বিপজ্জনক কনটেন্ট দেখায় এবং ভুয়া তথ্য ছড়ায়। ওই সমস্যাগুলো নিয়েই এখানে কাজ করা হবে।

গত বছর প্রযুক্তি সেবার বাজারে আলোড়ন তুলেছিলেন ফেসবুকের অভ্যন্তরীণ তথ্য ফাঁসকারী সাবেক কর্মী ফ্রান্সিস হাউগেন। ফাঁস করা নথিপত্র থেকে উঠে আসে কিশোর বয়সীদের ওপর ইনস্টাগ্রামের বিরূপ প্রভাবের বিষয়ে জানা থাকলেও মুনাফার লোভে বিষয়টি চেপে গেছে ফেসবুক।

পরবর্তীতে সিনেট শুনানিতে হাজির হয়ে হাউগেন সাক্ষ্য দেন, করোনাভাইরাস এবং এর টিকা সম্পর্কে বিপজ্জনক ভুয়া তথ্য প্রচারের সুযোগ দিচ্ছে সোস্যাল জায়ান্টটি।

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here