মুক্তির মিছিল, সিলেট, ১২ মার্চ ২০২৩ : সিলেট সদর উপজেলার খাদিমপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলামের নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ রোববার ভোরে সিলেট শহরতলির খাদিমপাড়া পীরের বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এতে কার্যালয়ের বেশ কয়েকটি চেয়ার, টেবিল ভাঙচুরের পাশাপাশি শামিয়ানা কেটে ফেলা হয়েছে।

ভাঙচুরের ঘটনায় ওই নির্বাচনের প্রার্থী ও ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদরুল ইসলাম জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও তাঁর সমর্থকেরা।

তবে এই অভিযোগ অসত্য বলে মন্তব্য করেছেন বদরুল ইসলাম। ভাঙচুরের ঘটনার নিন্দা জানিয়ে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কার্যালয় ভাঙচুরের খবর শুনে তিনি ঘটনাস্থলে এবং আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সঙ্গে দেখা করতে রওনা দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কয়েক দিন পরই শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু এলাকায় যাতে সম্প্রীতির ব্যাঘাত না হয়, সেটি তিনি চান।

খাদিমপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন ১৬ মার্চ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত নজরুল ইসলামসহ ৮ জন প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন।

স্থানীয় লোকজন ও আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ ভোরে ফজরের নামাজের কিছু আগে ৫-৬ জন ব্যক্তি খাদিমপাড়া পীরের বাজারে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নজরুল ইসলামের কার্যালয়ে দেশীয় দা, হাতুড়ি নিয়ে ভাঙচুর শুরু করেন। ভাঙচুরের শব্দ শুনে বাজারের নিরাপত্তা প্রহরী চান মিয়া ঘটনাস্থলে পৌঁছালে দুষ্কৃতকারীরা পালিয়ে যান। খবর পেয়ে সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশের একটি দল।

আওয়ামী লীগ প্রার্থী নজরুল ইসলামের নির্বাচন আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব শেখ আলিম উদ্দিন বলেন, তিনি খাদিমপাড়া পীরের বাজারের দলীয় প্রার্থীর কার্যালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন। ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে বাজারের নিরাপত্তা প্রহরীর মাধ্যমে খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছে কার্যালয় ভাঙচুর অবস্থায় পান। নিরাপত্তা প্রহরীর বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ৫-৬ জন ব্যক্তি মাথায় ও মুখে কাপড় বেঁধে কার্যালয় ভাঙচুর করেছেন। নিরাপত্তা প্রহরী ভাঙচুরের শব্দ শুনে মসজিদ থেকে কার্যালয়ের সামনে পৌঁছালে তাঁরা পালিয়ে যান।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী নজরুল ইসলাম বলেন, তিনি ঘোড়া প্রতীকে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া বদরুল ইসলাম এমনটি করে থাকতে পারেন বলে ধারণা করছেন। হামলাকারীরা কার্যালয়টির প্রায় ৩০-৩৫টি চেয়ার, ৫-৬টি টেবিল ভাঙচুর করেছেন এবং কার্যালয় ঘিরে রাখা শামিয়ানা ছিঁড়ে ফেলেছেন। এ ব্যাপারে তিনি থানায় অভিযোগ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

সিলেটের শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ভাঙচুরের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। প্রার্থীর পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার পর বিস্তারিত তদন্ত করে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here